ভোলা প্রতিনিধিঃ দ্বীপজেলা ভোলায় ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ডেঙ্গু। বর্তমানে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৭ জন। যাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ৩ জন নারী। নতুন করে আরও ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪০ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সুত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে আগত রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখন স্থানীয়ভাবেই এ রোগের বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় আতংকিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
খোজ নিয়ে জানা গেল, উপকূলীয় জেলা ভোলায় বিগত সময়ে ডেঙ্গুর বিস্তার মহামারি না হলেও জুলাই মাসে অতিতে আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ৮ দিনেই আক্রান্ত ৩৭ জন। বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতালে আলাদা দুটি ইউনিট ভোলা হলেও স্থান সংকুলান না থাকায় কাউকে আবার মেঝতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
রোগের প্রকোপ বাড়তির দিকে থাকায় আতংকের মধ্যে রোগীর স্বজনরা। এদিকে প্রতিদিন গড়ে ৫- থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
রোগীর স্বজন জানান, পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্যরা সংক্রামনের ভয়ে আতংকিত। তবে ডাক্তার ও নার্সরা প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন।
এদিকে ভোলায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। হঠাৎ কেন স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ছে তা নিরুপনে গভেষনা করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
এ ব্যপারে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সিবলি সাদিক আল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ কিছুটা বাড়তির দিকে থাকলেও আমরা সেবা দিচ্ছি। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের হার বাড়ায় বিষয়টি আমরাও কিছুটা চিন্তিত। কারন, আগে দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে বেশীরভাগ ছিলো বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগী।
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকে্রর অফিসার ডাঃ তায়েবুর রহমান বলেন, আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, ডেঙ্গুর কিস্তার রোদে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মাসে মাত্র ৩ জনের ডেঙ্গু সংক্রামন ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক মাসে তা বেড়ে দাড়িয়েছে অর্ধশতাধিক।
মনজুর রহমান/ইবিটাইমস