ভিয়েনা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

বাঁধ ধ্বংসে ইউক্রেন-রাশিয়া একে অপরকে দোষারোপ করছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • ২৫ সময় দেখুন

খেরসনে বাঁধ ধ্বংস হবার ফলে পানীয় জলের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন ও রাশিয়া মঙ্গলবার(৬ জুন) দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনের কাছে একটি বড় বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের একটি এলাকায় কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের ফলে নিপ্রো নদীর তীরে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি বাঁধ ধ্বংসের পর মানবিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, রাশিয়ার বাঁধ ধ্বংস করা “ইকোসাইড” এবং যুদ্ধাপরাধ।

রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের হামলায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এক টুইটবার্তায় বলেছে, “বাঁধটি ধ্বংসের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ বিপদে পড়েছে, যাদের অনেকের ঘরবাড়ি নেই এবং তাদের চরম মানবিক সাহায্য প্রয়োজন রয়েছে”।

এদিকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া অধিকৃত বিভিন্ন সেক্টরে লড়াই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকা সেক্টরও রয়েছে।

এদিকে ন্যাটো (NATO) মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বাঁধ ধ্বংসকে “একটি জঘন্য কাজ” বলে অভিহিত করেছেন, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নৃশংসতাকে আরও একবার প্রমাণ করেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, তিনি “নজিরবিহীন এই হামলায় মর্মাহত” এবং চলতি মাসে কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতি হতে শুরু করেছে, কিন্তু পুনরুদ্ধারে ঝুঁকি রয়েছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব “মূল একটি উদ্বেগের বিষয়।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার বলেছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার একদিন পর কয়েক হাজার মানুষ “পানীয় জলের স্বাভাবিক সরবরাহ ছাড়াই” দিনাতিপাত করছে।

জেলেন্সকি টুইট করেছেন যে, বাঁধের ধ্বংস “একেবারে ইচ্ছাকৃত” ছিল। তিনি রুশ বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে রাশিয়া এখন বন্যার প্রভাব মোকাবিলা করা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বসবাসকারীদেরকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে না। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিপ্রো নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় প্রায় ৪০টি শহর এবং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা থেকে ৯০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের একটি অংশে খেরসন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত বাঁধটি ধ্বংসের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বলেছে, বিশাল বাঁধের ধ্বংসের কারণ কি তা চূড়ান্তভাবে বলা যায়নি তবে প্রতিবেদনে মূল্যায়ন করা হয়েছে যে বিস্ফোরণটি রাশিয়া ঘটিয়েছে। জাতিসংঘ সংবাদদাতা মার্গারিট বাশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাঁধ ধ্বংসে ইউক্রেন-রাশিয়া একে অপরকে দোষারোপ করছে

আপডেটের সময় ০৩:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

খেরসনে বাঁধ ধ্বংস হবার ফলে পানীয় জলের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউক্রেন ও রাশিয়া মঙ্গলবার(৬ জুন) দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনের কাছে একটি বড় বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের একটি এলাকায় কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের ফলে নিপ্রো নদীর তীরে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি বাঁধ ধ্বংসের পর মানবিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, রাশিয়ার বাঁধ ধ্বংস করা “ইকোসাইড” এবং যুদ্ধাপরাধ।

রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের হামলায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এক টুইটবার্তায় বলেছে, “বাঁধটি ধ্বংসের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ বিপদে পড়েছে, যাদের অনেকের ঘরবাড়ি নেই এবং তাদের চরম মানবিক সাহায্য প্রয়োজন রয়েছে”।

এদিকে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া অধিকৃত বিভিন্ন সেক্টরে লড়াই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকা সেক্টরও রয়েছে।

এদিকে ন্যাটো (NATO) মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বাঁধ ধ্বংসকে “একটি জঘন্য কাজ” বলে অভিহিত করেছেন, যা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নৃশংসতাকে আরও একবার প্রমাণ করেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, তিনি “নজিরবিহীন এই হামলায় মর্মাহত” এবং চলতি মাসে কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতি হতে শুরু করেছে, কিন্তু পুনরুদ্ধারে ঝুঁকি রয়েছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব “মূল একটি উদ্বেগের বিষয়।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার বলেছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার একদিন পর কয়েক হাজার মানুষ “পানীয় জলের স্বাভাবিক সরবরাহ ছাড়াই” দিনাতিপাত করছে।

জেলেন্সকি টুইট করেছেন যে, বাঁধের ধ্বংস “একেবারে ইচ্ছাকৃত” ছিল। তিনি রুশ বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে রাশিয়া এখন বন্যার প্রভাব মোকাবিলা করা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বসবাসকারীদেরকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে না। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিপ্রো নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় প্রায় ৪০টি শহর এবং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা থেকে ৯০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের একটি অংশে খেরসন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত বাঁধটি ধ্বংসের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছে।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বলেছে, বিশাল বাঁধের ধ্বংসের কারণ কি তা চূড়ান্তভাবে বলা যায়নি তবে প্রতিবেদনে মূল্যায়ন করা হয়েছে যে বিস্ফোরণটি রাশিয়া ঘটিয়েছে। জাতিসংঘ সংবাদদাতা মার্গারিট বাশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস