মোঃ নাসরুল্লাহ, ঢাকা: শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গণশুনানি ছাড়াই (সদ্য মঞ্জুর করা নীতি) গ্যাসের দাম সমন্বয় করলো।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কয়েকদিন পর বুধবার আবাসিক, সার ও চা উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৪ থেকে ১৭৯% পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বর্তমানের ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বেড়ে ১৪ টাকা হবে (১৭৯% বৃদ্ধি)। এছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হবে (৮৮% বৃদ্ধি)। বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে এই দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হচ্ছে (১৫০% বৃদ্ধি)। মাঝারি শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের নতুন দাম ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বেড়ে হবে ৩০ টাকা (১৫৫% বৃদ্ধি) এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও অন্যান্য শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে (১৫৯% বৃদ্ধি) ।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় গ্যাসের মূল্য হবে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা, যেখানে এতদিন দাম ছিল ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা (১৪% বৃদ্ধি)। তবে আবাসিক, সার ও চা উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি।
গত বছরের জুনে গ্যাসের গড় দাম ২২.৭৮% বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এদিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি বাংলাদেশের ব্যবসা খাতে প্রতিযোগিতার ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। তারা বলেন নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য বেশি অর্থ দেয়া যাবে, তবে এতো বেশি বাড়তি দাম চাপ তৈরি করবে।
অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরবে উৎপাদন শিল্পে। এরফলে অভ্যন্তরিণ উৎপাদন যেমন কমবে তেমনি রপ্তানি শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া জিনিসপত্রের দাম বেড়েযাওয়া মানুষের ওপরও চাপ বাড়বে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএস