ভিয়েনা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ভিক্ষুক আ: জলিলের দোকান উদ্বোধন করলেন ইউএনও আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ারে সৈয়দ ফয়জুল কীরম থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৭ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে টেলিফোনে অস্ট্রিয়ার সংসদে বোমা হামলার হুমকি – হুমকিদাতা শনাক্ত – পুলিশ লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমোহনে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের কর্মবিরতি

পিরোজপুরে ভিপি মুক্তা হত্যা মামলার আসামীরা খালাস

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৫০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২০ সময় দেখুন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি মো. মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা (২৯) হত্যা মামলার আসামীদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারী) পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এস.এম নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।

মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালো, স্থানীয় লক্ষাকাঠী এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. রসুল, ঝাঠকাঠী এলাকার বারেক শেখের ছেলে মো. রাজ্জাক শেখ এবং বাজুকাঠী এলাকার আমির হোসেন সরদারের ছেলে শিপন সরদার।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো. জহুরুল ইসলাম ওই রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার মীর আব্দুর রব এর পুত্র ছিলেন। গত ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারী তৎকালীন ওই কলেজের ভিপি ছিলেন তিনি। তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জানুয়ারী তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট থানা পুলিশের এসআই আবুল বাশার ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান বলেন, আদালতের বিচারক সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানে তারা অভিযুক্ত প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, গত ২০০৭ সালের সেনা শাসনের সময় ওই কলেজে ছাত্রলীগের কিছু বহিরাগত ক্যাডাররা কলেজে ঢুকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন সহ কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবী করতো। আর ভিপি মুক্ত এ সবের প্রতিবাদ করতেন। এর জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রুবেল বলেন, সে সময়ে জেলার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে জন প্রিয় ছিলেন ভিপি মুক্তা। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকারীরা শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার। তাদের অব্যাহত হুমকীর ভয়ে নিহতের পরিবারের কেহই রায়ের সময় আদালতে ছিলেন না। নিহতের পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস 

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পিরোজপুরে ভিপি মুক্তা হত্যা মামলার আসামীরা খালাস

আপডেটের সময় ০৫:৫০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি মো. মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা (২৯) হত্যা মামলার আসামীদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারী) পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ এস.এম নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।

মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালো, স্থানীয় লক্ষাকাঠী এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. রসুল, ঝাঠকাঠী এলাকার বারেক শেখের ছেলে মো. রাজ্জাক শেখ এবং বাজুকাঠী এলাকার আমির হোসেন সরদারের ছেলে শিপন সরদার।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো. জহুরুল ইসলাম ওই রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার মীর আব্দুর রব এর পুত্র ছিলেন। গত ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারী তৎকালীন ওই কলেজের ভিপি ছিলেন তিনি। তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জানুয়ারী তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট থানা পুলিশের এসআই আবুল বাশার ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান বলেন, আদালতের বিচারক সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানে তারা অভিযুক্ত প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, গত ২০০৭ সালের সেনা শাসনের সময় ওই কলেজে ছাত্রলীগের কিছু বহিরাগত ক্যাডাররা কলেজে ঢুকে প্রকাশ্যে মাদক সেবন সহ কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবী করতো। আর ভিপি মুক্ত এ সবের প্রতিবাদ করতেন। এর জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রুবেল বলেন, সে সময়ে জেলার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে জন প্রিয় ছিলেন ভিপি মুক্তা। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকারীরা শাসক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার। তাদের অব্যাহত হুমকীর ভয়ে নিহতের পরিবারের কেহই রায়ের সময় আদালতে ছিলেন না। নিহতের পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস