ভিয়েনা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ভিক্ষুক আ: জলিলের দোকান উদ্বোধন করলেন ইউএনও আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ারে সৈয়দ ফয়জুল কীরম থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৭ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে টেলিফোনে অস্ট্রিয়ার সংসদে বোমা হামলার হুমকি – হুমকিদাতা শনাক্ত – পুলিশ লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমোহনে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের কর্মবিরতি

হবিগঞ্জে নিম্নমানের ধান বীজে কৃষকের সর্বনাশ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • ২১ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামে সুপ্রিম সীড কোম্পানির নিম্নমানের ধান বীজ রূপন করে ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন এক কৃষক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক সুমন তালুকদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা, গত ১৬ ই আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার স্টেশন রোড এলাকার ইকবাল ট্রেডার্স থেকে সুপ্রিম সীড কোম্পানির এজেড ৭০০৬ নামে হাইব্রিড ধানের বীজ ক্রয় করেন। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা ধরে মোট ৬ হাজার ৩ শ টাকায় ১৮ কেজি ধানের বীজ ক্রয় করে বপন করেন। পরবর্তীতে যথাসময়ে সেই ধানের চারা জমিতে রূপন করেন। রূপনের পর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও ধানের শীষ বের না হওয়ায় তিনি ইকবাল ট্রেডার্সে যোগাযোগ করেন। পরে সুপ্রিম সীড ফুড লিমিটেডের জোনাল ম্যানেজার মশিউর রহমান তার জমি পরিদর্শন করে কয়েকটি ওষুধ প্রয়োগের কথা বলেন। তার কথামতো কৃষক সুমন তালুকদার জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে কৃষককে আগামী মৌসুমে সার-বীজ দিয়ে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে সটকে পড়েন।

এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুমন তালুকদার বলেন, আমি জমিতে সকল পরামর্শ মেনে ধান রূপন করেছিলাম। এতে আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একইদিনে রূপন করা অন্যান্য জমিতেও ভালো ফলন হয়েছে। তাদের নিম্নমানের ধান বীজের কারনে আমার দেড়লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একই বিষয়ে সুপ্রিম সীড লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত জোনাল ম্যানেজার মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বায়ার কোম্পানির কাছ থেকে আমদানি করে এ জেড ৭০০৬ হাইব্রিড ধান বীজ বাজার জাত করি। আমি সমস্যার কথা শুনে যখন জমিটি পরিদর্শন করেছিলাম তখন জমি একদম শুকনো ছিলো। ধানের ফুল ফোটা থেকে ধান পুষ্ট হওয়া পর্যন্ত জমিতে পানি থাকা জরুরী। আমি তাকে জমিতে পানি এবং ফ্লোরা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলাম।

একই বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকালকে উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। শুনানি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হবিগঞ্জে নিম্নমানের ধান বীজে কৃষকের সর্বনাশ

আপডেটের সময় ০৭:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামে সুপ্রিম সীড কোম্পানির নিম্নমানের ধান বীজ রূপন করে ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন এক কৃষক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক সুমন তালুকদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা, গত ১৬ ই আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার স্টেশন রোড এলাকার ইকবাল ট্রেডার্স থেকে সুপ্রিম সীড কোম্পানির এজেড ৭০০৬ নামে হাইব্রিড ধানের বীজ ক্রয় করেন। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা ধরে মোট ৬ হাজার ৩ শ টাকায় ১৮ কেজি ধানের বীজ ক্রয় করে বপন করেন। পরবর্তীতে যথাসময়ে সেই ধানের চারা জমিতে রূপন করেন। রূপনের পর নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও ধানের শীষ বের না হওয়ায় তিনি ইকবাল ট্রেডার্সে যোগাযোগ করেন। পরে সুপ্রিম সীড ফুড লিমিটেডের জোনাল ম্যানেজার মশিউর রহমান তার জমি পরিদর্শন করে কয়েকটি ওষুধ প্রয়োগের কথা বলেন। তার কথামতো কৃষক সুমন তালুকদার জমিতে ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে কৃষককে আগামী মৌসুমে সার-বীজ দিয়ে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে সটকে পড়েন।

এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুমন তালুকদার বলেন, আমি জমিতে সকল পরামর্শ মেনে ধান রূপন করেছিলাম। এতে আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একইদিনে রূপন করা অন্যান্য জমিতেও ভালো ফলন হয়েছে। তাদের নিম্নমানের ধান বীজের কারনে আমার দেড়লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

একই বিষয়ে সুপ্রিম সীড লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত জোনাল ম্যানেজার মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বায়ার কোম্পানির কাছ থেকে আমদানি করে এ জেড ৭০০৬ হাইব্রিড ধান বীজ বাজার জাত করি। আমি সমস্যার কথা শুনে যখন জমিটি পরিদর্শন করেছিলাম তখন জমি একদম শুকনো ছিলো। ধানের ফুল ফোটা থেকে ধান পুষ্ট হওয়া পর্যন্ত জমিতে পানি থাকা জরুরী। আমি তাকে জমিতে পানি এবং ফ্লোরা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলাম।

একই বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকালকে উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। শুনানি শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস