ভিয়েনা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ভিক্ষুক আ: জলিলের দোকান উদ্বোধন করলেন ইউএনও আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ারে সৈয়দ ফয়জুল কীরম থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৭ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে টেলিফোনে অস্ট্রিয়ার সংসদে বোমা হামলার হুমকি – হুমকিদাতা শনাক্ত – পুলিশ লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমোহনে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের কর্মবিরতি

লালমোহনে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা,বাবা ও কাজীর ঠাঁই হলো কারাগারে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • ২৩ সময় দেখুন

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে মেয়ে দেখাতে নিয়ে পাত্র ও তার পরিবারকে আটক করে জোরপূর্বক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ের বাবা ও কাজীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা গ্রামের ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের জিম্মিদশা থেকে পাত্র রাসেল ও তার স্বজনদেরও উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় বাদী হয়ে রাসেলের ভাবি মোসা. শাহিনা বেগম একটি মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসআই শাহজালাল রাঢ়ি।

তিনি বলেন, উপজেলার চরভূতা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবিব মাস্টারের ছেলে রাসেলের বিয়ের জন্য তার স্বজনরা কয়েকদিন ধরে পাত্রী খুঁজছিল। শনিবার বিকালে লালমোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  রফিকুল ইসলামের মেয়ে দেখতে রাসেল ও তার স্বজনরা ওই বাড়িতে যায়। এসময় মেয়ে দেখে জানতে পারে সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ছেলে রাসেল তা প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু মেয়ের বাবা রফিক রাসেল ও তার স্বজনদের আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে না চাইলে ছেলেকে মারপিট করে। ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে তার সহায়তায় রাতেই বিয়ের রেজিষ্ট্রিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম। বিগত কয়েক বছর ধরে যুবক রাসেল ও তার পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছে।

এসআই শাহজালাল রাঢ়ি আরো বলেন, এক পর্যায় রাত ১২ টা বেজে গেলে রাসেল ও তার পরিবার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি না পেলে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে যুবক রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। এসময় আটক করা হয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমানকে। পরে রাতে যুবক রাসেলের ভাবি শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে রোববার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা,বাবা ও কাজীর ঠাঁই হলো কারাগারে

আপডেটের সময় ০৭:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে মেয়ে দেখাতে নিয়ে পাত্র ও তার পরিবারকে আটক করে জোরপূর্বক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ের বাবা ও কাজীকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা গ্রামের ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের জিম্মিদশা থেকে পাত্র রাসেল ও তার স্বজনদেরও উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় বাদী হয়ে রাসেলের ভাবি মোসা. শাহিনা বেগম একটি মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসআই শাহজালাল রাঢ়ি।

তিনি বলেন, উপজেলার চরভূতা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবিব মাস্টারের ছেলে রাসেলের বিয়ের জন্য তার স্বজনরা কয়েকদিন ধরে পাত্রী খুঁজছিল। শনিবার বিকালে লালমোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  রফিকুল ইসলামের মেয়ে দেখতে রাসেল ও তার স্বজনরা ওই বাড়িতে যায়। এসময় মেয়ে দেখে জানতে পারে সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ছেলে রাসেল তা প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু মেয়ের বাবা রফিক রাসেল ও তার স্বজনদের আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে না চাইলে ছেলেকে মারপিট করে। ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে তার সহায়তায় রাতেই বিয়ের রেজিষ্ট্রিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম। বিগত কয়েক বছর ধরে যুবক রাসেল ও তার পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছে।

এসআই শাহজালাল রাঢ়ি আরো বলেন, এক পর্যায় রাত ১২ টা বেজে গেলে রাসেল ও তার পরিবার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি না পেলে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে যুবক রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। এসময় আটক করা হয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমানকে। পরে রাতে যুবক রাসেলের ভাবি শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে রোববার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস