ভিয়েনা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল ভিক্ষুক আ: জলিলের দোকান উদ্বোধন করলেন ইউএনও আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিতে এভারকেয়ারে সৈয়দ ফয়জুল কীরম থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৭ সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে টেলিফোনে অস্ট্রিয়ার সংসদে বোমা হামলার হুমকি – হুমকিদাতা শনাক্ত – পুলিশ লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ লালমোহনে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের কর্মবিরতি

দ্বিতীয় দিনে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • ২২ সময় দেখুন

ভোলা প্রতিনিধিঃ টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরের দ্বিতীয় দিনেও  ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে  ধরা পড়ছে রুপালি  ইলিশ।দ্বিতীয় দিনেও ইলিশ পাওয়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।এদিকে লালমোহন উপজেলার জেলে ও আড়ৎদারেরা জানান,প্রথম দিনের তুলনায় অনেক কম মাছ ধরা পরেছে জেলেদের জালে।

রবিবার(৩০অক্টোবর) বিভিন্ন মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা গিয়েছে,একদিকে শত শত জেলেরা ট্রলার নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছে মাছ শিকারে।অন্যদিকে জেলেরা রুপালি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন।ব্যস্ত সময় পার করেছেন   জেলে পাড়ার জেলেরা। এক দল শ্রমিক এ মাছ বরফ দিয়ে  প্যাকেট জাত ঢাকার উদ্দেশ্য ট্রলারে উঠাচ্ছে।এতে সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎ ও বরফ মিলে গুলো। নিশেধাজ্ঞা কাটিয়ে  নদীতে দ্বিতীয় দিনেও দেখা মিলেছে ইলিশের। আড়ৎগুলোতে  লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে।এ মাছ বিক্রি হচ্ছে পাইকারদের কাছে।এ মাছ চলে যাচ্ছে ঢাকাতে।

ভোলা সদর উপজেলার  তুলাতলী মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মনজুরুল আলম,কামাল,নওয়াব জানান, দ্বিতীয় দিনে মেঘনা  নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়ায় যাচ্ছে, আমরা জেলে ও শ্রমিকেরা ব্যস্থ সময় পার করেছি।নিষেধাজ্ঞা শেষ করে  প্রথম দিন এ ঘাটে ৬০ লাখ টাকার মাছের কেনা-বেচা হয়েছে।দ্বিতীয় দিনেও প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ কেনা – বেচা হয়েছে বলে জানান আড়ৎদারেরা।

এই ঘাটের জেলে সিরাজ মাঝি,কামাল মাঝি,ইসমাইল মাঝি  জানান, দ্বিতীয় দিনেও নদীতে গিয়ে ভালো মাছ পেয়েছি। এই ভাবে মাছ পাইলে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করতে পারবো।

এখন অনেক এক থেকে দেড়কেজি ওজনের মাছ বেশি পাওয়া যায়। ১ কেজি ওজনের ১ হালি ইলিশ বিক্রি করতে পারছি ৪ হাজার ৫ শত থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদেরকে সরকারি সহায়তা তাদের হাতে পৌঁছাতে পেরেছি।  ইলিশের অভিযান সফল হওয়ায় নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।নিষেধাজ্ঞার পরে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেও লক্ষ্য মাত্রা চেয়েও ভালো  ইলিশ পেয়েছে।  দ্বীপজেলা ভোলায় ইলিশ ধরার উপর জীবিকা চলে এমন জেলের সংখ্যা ৩ লাখের অধিক।

এইদিকে লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর পাড়ে   নাজিরপুর মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার  মোঃলিখন জমদার জানান, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ইলিশ মাছ পেয়েছি অনেক কম।তাদের ঘাটে প্রথম দিনে ইলিশ বেচা- কেনা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।দ্বিতীয় দিনে বেচা-কেনা হয়েছে মাত্র ১০ লক্ষ টাকার।এতে হতাশ হয়ে পরেছেন জেলেরা।

লালমোহ উপজেলা বাত্তিরখাল মৎস্য ঘাটের জেলে মোঃ মনির মাঝি, জানান,প্রথম দিনের তুলনায় আজ ( রবিবার) মাছ অনেক কম।খালি হাতে ফিরতে দেখেছেন অনেক জেলেদেরকে।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিতে প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

দ্বিতীয় দিনে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

আপডেটের সময় ০৭:১৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

ভোলা প্রতিনিধিঃ টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরের দ্বিতীয় দিনেও  ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে  ধরা পড়ছে রুপালি  ইলিশ।দ্বিতীয় দিনেও ইলিশ পাওয়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।এদিকে লালমোহন উপজেলার জেলে ও আড়ৎদারেরা জানান,প্রথম দিনের তুলনায় অনেক কম মাছ ধরা পরেছে জেলেদের জালে।

রবিবার(৩০অক্টোবর) বিভিন্ন মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা গিয়েছে,একদিকে শত শত জেলেরা ট্রলার নৌকা নিয়ে নদীতে যাচ্ছে মাছ শিকারে।অন্যদিকে জেলেরা রুপালি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন।ব্যস্ত সময় পার করেছেন   জেলে পাড়ার জেলেরা। এক দল শ্রমিক এ মাছ বরফ দিয়ে  প্যাকেট জাত ঢাকার উদ্দেশ্য ট্রলারে উঠাচ্ছে।এতে সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎ ও বরফ মিলে গুলো। নিশেধাজ্ঞা কাটিয়ে  নদীতে দ্বিতীয় দিনেও দেখা মিলেছে ইলিশের। আড়ৎগুলোতে  লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে।এ মাছ বিক্রি হচ্ছে পাইকারদের কাছে।এ মাছ চলে যাচ্ছে ঢাকাতে।

ভোলা সদর উপজেলার  তুলাতলী মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মনজুরুল আলম,কামাল,নওয়াব জানান, দ্বিতীয় দিনে মেঘনা  নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়ায় যাচ্ছে, আমরা জেলে ও শ্রমিকেরা ব্যস্থ সময় পার করেছি।নিষেধাজ্ঞা শেষ করে  প্রথম দিন এ ঘাটে ৬০ লাখ টাকার মাছের কেনা-বেচা হয়েছে।দ্বিতীয় দিনেও প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ কেনা – বেচা হয়েছে বলে জানান আড়ৎদারেরা।

এই ঘাটের জেলে সিরাজ মাঝি,কামাল মাঝি,ইসমাইল মাঝি  জানান, দ্বিতীয় দিনেও নদীতে গিয়ে ভালো মাছ পেয়েছি। এই ভাবে মাছ পাইলে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করতে পারবো।

এখন অনেক এক থেকে দেড়কেজি ওজনের মাছ বেশি পাওয়া যায়। ১ কেজি ওজনের ১ হালি ইলিশ বিক্রি করতে পারছি ৪ হাজার ৫ শত থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদেরকে সরকারি সহায়তা তাদের হাতে পৌঁছাতে পেরেছি।  ইলিশের অভিযান সফল হওয়ায় নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।নিষেধাজ্ঞার পরে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেও লক্ষ্য মাত্রা চেয়েও ভালো  ইলিশ পেয়েছে।  দ্বীপজেলা ভোলায় ইলিশ ধরার উপর জীবিকা চলে এমন জেলের সংখ্যা ৩ লাখের অধিক।

এইদিকে লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর পাড়ে   নাজিরপুর মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার  মোঃলিখন জমদার জানান, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ইলিশ মাছ পেয়েছি অনেক কম।তাদের ঘাটে প্রথম দিনে ইলিশ বেচা- কেনা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।দ্বিতীয় দিনে বেচা-কেনা হয়েছে মাত্র ১০ লক্ষ টাকার।এতে হতাশ হয়ে পরেছেন জেলেরা।

লালমোহ উপজেলা বাত্তিরখাল মৎস্য ঘাটের জেলে মোঃ মনির মাঝি, জানান,প্রথম দিনের তুলনায় আজ ( রবিবার) মাছ অনেক কম।খালি হাতে ফিরতে দেখেছেন অনেক জেলেদেরকে।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস