ভিয়েনা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চরফ্যাশনে এডিশনাল পিপির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ঝালকাঠি-১ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি নূরুল্লাহ আশরাফীর মতবিনিময় ‎ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত ইউরোপকে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ ও ‘দুর্বল’ বললেন ট্রাম্প আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: ইউএনওদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ আজ স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে ইতালির মনফালকোনেতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ন্ধ মিত্রদের একে অপরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় – ইইউ কাউন্সিল প্রধান

ইতালির ভবিষ্যত সরকার হবে ন্যাটো ও সম্পূর্ণ পশ্চিমা পন্থী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৪৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ১৬ সময় দেখুন

ইতালির সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইতালির ভবিষ্যত পররাষ্ট্রনীতি পরিষ্কার করেছেন

ইউরোপ ডেস্কঃ ইতালির সদ্য সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী জর্জিয়া মেলোনি গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) তার রক্ষণশীল মিত্র সিলভিও বার্লুসকোনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার সহানুভূতি পুনর্ব্যক্ত করার পর এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে যুদ্ধের সূত্রপাত করার জন্য অভিযুক্ত করার পর, মেলোনির আপোষহীন এই বিবৃতিটি এলো। তিনি তার ডানপন্থী জোটের অংশীদারদের বলেছেন, তার নতুন সরকার হবে ন্যাটো-পন্থী এবং সম্পূর্ণ ভাবে ইইউর অংশ।

ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে আগামী সপ্তাহে তাঁর নতুন সরকার দেশটির কার্যভার গ্রহণ করতে চলেছে। তার আগে, অত্যন্ত তীক্ষ্ণ কন্ঠে মেলোনি বলেন, তার বিদেশ নীতির সাথে একমত নয়, এমন কোনও দলের তাঁর সরকারে যোগ দেওয়া উচিত হবে না।

তিনি বলেন, “একটি বিষয়ে আমি অটল ছিলাম, আছি এবং সবসময়ই থাকব। আমি একটি পরিষ্কার এবং দ্ব্যর্থহীন পররাষ্ট্রনীতির সাথে সরকারকে নেতৃত্ব দিতে চাই। যে কেউ এই মূলনীতির সাথে দ্বিমত পোষণ করলে, তারা সরকারের অংশ হতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারে থাকলে ইতালির সাথে পশ্চিমের সম্পর্ক কখনই দুর্বল হবে না।”

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে মেলোনি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকেও সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, পুতিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি (৮৬) মঙ্গলবার তার ফোরজা ইতালিয়া দলের সংসদ সদস্যদের কাছে একটি অডিও বার্তা প্রেরণ করেন। যেখানে শোনা যায়, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তার সাথে “মিষ্টি বার্তা” এবং উপহার বিনিময় করেছিলেন।

মঙ্গলবার, প্রথম অডিও বার্তা প্রকাশের পর, ফোরজা ইতালিয়া বলেন, যুদ্ধ সম্পর্কে বার্লুসকোনির দৃষ্টিভঙ্গি “ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।” তবে, কেন্দ্রীয়-বাম ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এনরিকো লেটা বলেছেন, “বার্লুসকোনির মন্তব্য অত্যন্ত গুরুতর এবং ইতালি ও ইউরোপীয় অবস্থানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস

জনপ্রিয়

চরফ্যাশনে এডিশনাল পিপির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ইতালির ভবিষ্যত সরকার হবে ন্যাটো ও সম্পূর্ণ পশ্চিমা পন্থী

আপডেটের সময় ০২:৪৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

ইতালির সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইতালির ভবিষ্যত পররাষ্ট্রনীতি পরিষ্কার করেছেন

ইউরোপ ডেস্কঃ ইতালির সদ্য সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী জর্জিয়া মেলোনি গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) তার রক্ষণশীল মিত্র সিলভিও বার্লুসকোনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার সহানুভূতি পুনর্ব্যক্ত করার পর এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে যুদ্ধের সূত্রপাত করার জন্য অভিযুক্ত করার পর, মেলোনির আপোষহীন এই বিবৃতিটি এলো। তিনি তার ডানপন্থী জোটের অংশীদারদের বলেছেন, তার নতুন সরকার হবে ন্যাটো-পন্থী এবং সম্পূর্ণ ভাবে ইইউর অংশ।

ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে আগামী সপ্তাহে তাঁর নতুন সরকার দেশটির কার্যভার গ্রহণ করতে চলেছে। তার আগে, অত্যন্ত তীক্ষ্ণ কন্ঠে মেলোনি বলেন, তার বিদেশ নীতির সাথে একমত নয়, এমন কোনও দলের তাঁর সরকারে যোগ দেওয়া উচিত হবে না।

তিনি বলেন, “একটি বিষয়ে আমি অটল ছিলাম, আছি এবং সবসময়ই থাকব। আমি একটি পরিষ্কার এবং দ্ব্যর্থহীন পররাষ্ট্রনীতির সাথে সরকারকে নেতৃত্ব দিতে চাই। যে কেউ এই মূলনীতির সাথে দ্বিমত পোষণ করলে, তারা সরকারের অংশ হতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারে থাকলে ইতালির সাথে পশ্চিমের সম্পর্ক কখনই দুর্বল হবে না।”

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে মেলোনি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকেও সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, পুতিনের দীর্ঘদিনের বন্ধু ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি (৮৬) মঙ্গলবার তার ফোরজা ইতালিয়া দলের সংসদ সদস্যদের কাছে একটি অডিও বার্তা প্রেরণ করেন। যেখানে শোনা যায়, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তার সাথে “মিষ্টি বার্তা” এবং উপহার বিনিময় করেছিলেন।

মঙ্গলবার, প্রথম অডিও বার্তা প্রকাশের পর, ফোরজা ইতালিয়া বলেন, যুদ্ধ সম্পর্কে বার্লুসকোনির দৃষ্টিভঙ্গি “ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।” তবে, কেন্দ্রীয়-বাম ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এনরিকো লেটা বলেছেন, “বার্লুসকোনির মন্তব্য অত্যন্ত গুরুতর এবং ইতালি ও ইউরোপীয় অবস্থানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস