ভিয়েনা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমৌসমে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল চাষি লতিফ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • ২৫ সময় দেখুন

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন মো. আব্দুল লতিফ নামের এক কৃষক। উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা এলাকার মোজাফ্ফর আহমেদ পণ্ডিত বাড়ির আব্দুল লতিফ তার ৬ শতাংশ জমিতে অমৌসমে এ টমেটো চাষ করেন। জমিতে চাষ করা টমেটোর ফলনও ভালো পেয়েছেন। আব্দুল লতিফ কেবল একজন কৃষকই নয়, তিনি লালমোহন ইউনিয়নের বাংলাদেশ ডাকবিভাগের পোষ্ট মাস্টারও।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জৈষ্ঠ্য থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটো চাষ করা হয়। বীজ রোপণ থেকে ৪ মাস এ টমেটো গাছের জীবনকাল হয়ে থাকে। প্রতিটি টমেটো গাছে গড়ে অন্তত ৩০ টি ফল হয়। প্রতিটির গড় ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। এবং গাছ প্রতি গড়ে দেড় কেজি টমেটো হয়।

কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষি অফিসের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় আমাকে টমেটো চাষের জন্য একটি প্রদর্শণী দেয়া হয়। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও নেটসহ টমেটো চাষের বিষয়ে সব রকমের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে বাড়ির পাশের ৬ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ৬ শতাংশ জমিতে এ টমেটো চাষ করতে প্রায় দশ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পেরেছি। এখনও গাছে যে পরিমাণ ফল রয়েছে তাতে আশা করছি সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার মত বিক্রি করতে পারবো। আমি মনে করছি; বেকার যুবকসহ অন্যান্য কৃষকরাও এ টমেটো চাষ করতে পারেন। এতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ জানান, এবছর উপজেলায় দুইজন কৃষককে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটোর বীজসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয়েছে। এতে করে ওই দুই কৃষক আশানুরূপ ফলন পেয়েছে। কেউ আগ্রহী থাকলে কৃষি অফিস থেকে তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই পলিথিন চাউনিতে এসব টমেটো চাষ করতে হবে। অমৌসমে গ্রীষ্মকালীন এ টমেটো চাষ করে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে যে কেউ স্বালম্বী হতে পারবে বলে মনে করছি।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অমৌসমে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল চাষি লতিফ

আপডেটের সময় ০২:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন মো. আব্দুল লতিফ নামের এক কৃষক। উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা এলাকার মোজাফ্ফর আহমেদ পণ্ডিত বাড়ির আব্দুল লতিফ তার ৬ শতাংশ জমিতে অমৌসমে এ টমেটো চাষ করেন। জমিতে চাষ করা টমেটোর ফলনও ভালো পেয়েছেন। আব্দুল লতিফ কেবল একজন কৃষকই নয়, তিনি লালমোহন ইউনিয়নের বাংলাদেশ ডাকবিভাগের পোষ্ট মাস্টারও।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জৈষ্ঠ্য থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটো চাষ করা হয়। বীজ রোপণ থেকে ৪ মাস এ টমেটো গাছের জীবনকাল হয়ে থাকে। প্রতিটি টমেটো গাছে গড়ে অন্তত ৩০ টি ফল হয়। প্রতিটির গড় ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। এবং গাছ প্রতি গড়ে দেড় কেজি টমেটো হয়।

কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষি অফিসের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় আমাকে টমেটো চাষের জন্য একটি প্রদর্শণী দেয়া হয়। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও নেটসহ টমেটো চাষের বিষয়ে সব রকমের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে বাড়ির পাশের ৬ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ৬ শতাংশ জমিতে এ টমেটো চাষ করতে প্রায় দশ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পেরেছি। এখনও গাছে যে পরিমাণ ফল রয়েছে তাতে আশা করছি সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার মত বিক্রি করতে পারবো। আমি মনে করছি; বেকার যুবকসহ অন্যান্য কৃষকরাও এ টমেটো চাষ করতে পারেন। এতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ জানান, এবছর উপজেলায় দুইজন কৃষককে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটোর বীজসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয়েছে। এতে করে ওই দুই কৃষক আশানুরূপ ফলন পেয়েছে। কেউ আগ্রহী থাকলে কৃষি অফিস থেকে তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই পলিথিন চাউনিতে এসব টমেটো চাষ করতে হবে। অমৌসমে গ্রীষ্মকালীন এ টমেটো চাষ করে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে যে কেউ স্বালম্বী হতে পারবে বলে মনে করছি।

মনজুর রহমান/ইবিটাইমস