ভিয়েনা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমোহনের একটি ব্রিজে পূর্ণ হলো দুই ইউনিয়নের সেতুবন্ধন

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৯ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজ  নির্মাণের ফলে তৈরি হয়েছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে  সেতুবন্ধন। যেখানে বছরের পর বছর ধরে নৌকা বা ছোট্ট ট্রলার ছিল দুই ইউনিয়নবাসীর পারাপারের একমাত্র মাধ্যম, সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বাঁধ ভাঙা আনন্দ। এ ব্রিজটি নির্মাণের সুফল ভোগ করছে অন্তত এক লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে ব্রিজটি লালমোহনের জন্য হতে পারে বিনোদনের আরেকটি  নতুন স্পট।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) লার্জ ব্রিজ কন্সট্রাকশন (এলবিসি) প্রকল্পের আওতায় নাজিরপুর, পশ্চিম চরউমেদ ভায়া ফরাজগঞ্জের লালমোহন খালের ওপর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ব্রিজটি। যা বদরপুর-ফরাজগঞ্জ ব্রিজ নামেও পরিচিত। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৬৩ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। যা খাল থেকে ৩৪ ফুট ওপরে অবস্থিত। এর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক রয়েছে ১৮ ‘শ ৫৩ ফুট।

ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতকারী মো. কবির নামের এক রিকশা চালক জানান, এই ব্রিজটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। ব্রিজ না থাকায় আমাদের অন্যদিক দিয়ে কয়েকগুন বেশি ঘুরে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হতো। ব্রিজটি এক সময় স্বপ্নের মত থাকলেও এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের কারণে আমার মত অনেক চালকদের সুবিধা হয়েছে।

স্থানীয় আলতাব হোসেন ও আমির হোসেন বলেন, আগে আমাদের কোনো প্রয়োজন হলে নৌকায় করে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে হতো। এতে করে শিক্ষার্থীসহ এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাত। তবে বর্তমানে ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এ এলাকাটি অনেক উন্নত হয়েছে। এখন খালের দুই পাড়ের মানুষেরও দুর্ভোগ নেই।

ব্রিজে ঘুরতে আসা জাহিদ এবং রাজ্জাক নামের দুই বন্ধু জানান, সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এই ব্রিজটিও হতে পারে বিনোদনের একটি নতুন স্পট। এখানের মনোরম পরিবেশ সত্যিই মন জুড়িয়ে যায়। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসলে সকলের ভালো লাগবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘আমার গ্রাম আমার শহর, যেখানে গ্রামে বসে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে জনগণ। যার মধ্যে অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন করা। এর পরিপেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে করে ব্রিজের দুই পাশের মানুষের দিন দিন উন্নতি ঘটছে।

এব্যাপারে ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে বাদ পড়েনি দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলও।

তারই ধারাবাহিকতায় লালমোহনের বদরপুর ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে লালমোহন খালের ওপর এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের মধ্যে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে।

ব্রিজটি বদরপুর ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ব্রিজের সুবিধা ভোগ করছে প্রায় এক লক্ষ মানুষ।

ভোলা/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনের একটি ব্রিজে পূর্ণ হলো দুই ইউনিয়নের সেতুবন্ধন

আপডেটের সময় ১২:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজ  নির্মাণের ফলে তৈরি হয়েছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে  সেতুবন্ধন। যেখানে বছরের পর বছর ধরে নৌকা বা ছোট্ট ট্রলার ছিল দুই ইউনিয়নবাসীর পারাপারের একমাত্র মাধ্যম, সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বাঁধ ভাঙা আনন্দ। এ ব্রিজটি নির্মাণের সুফল ভোগ করছে অন্তত এক লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে ব্রিজটি লালমোহনের জন্য হতে পারে বিনোদনের আরেকটি  নতুন স্পট।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) লার্জ ব্রিজ কন্সট্রাকশন (এলবিসি) প্রকল্পের আওতায় নাজিরপুর, পশ্চিম চরউমেদ ভায়া ফরাজগঞ্জের লালমোহন খালের ওপর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ব্রিজটি। যা বদরপুর-ফরাজগঞ্জ ব্রিজ নামেও পরিচিত। ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৬৩ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। যা খাল থেকে ৩৪ ফুট ওপরে অবস্থিত। এর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক রয়েছে ১৮ ‘শ ৫৩ ফুট।

ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতকারী মো. কবির নামের এক রিকশা চালক জানান, এই ব্রিজটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। ব্রিজ না থাকায় আমাদের অন্যদিক দিয়ে কয়েকগুন বেশি ঘুরে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হতো। ব্রিজটি এক সময় স্বপ্নের মত থাকলেও এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের কারণে আমার মত অনেক চালকদের সুবিধা হয়েছে।

স্থানীয় আলতাব হোসেন ও আমির হোসেন বলেন, আগে আমাদের কোনো প্রয়োজন হলে নৌকায় করে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে হতো। এতে করে শিক্ষার্থীসহ এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাত। তবে বর্তমানে ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় এ এলাকাটি অনেক উন্নত হয়েছে। এখন খালের দুই পাড়ের মানুষেরও দুর্ভোগ নেই।

ব্রিজে ঘুরতে আসা জাহিদ এবং রাজ্জাক নামের দুই বন্ধু জানান, সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে এই ব্রিজটিও হতে পারে বিনোদনের একটি নতুন স্পট। এখানের মনোরম পরিবেশ সত্যিই মন জুড়িয়ে যায়। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসলে সকলের ভালো লাগবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘আমার গ্রাম আমার শহর, যেখানে গ্রামে বসে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে জনগণ। যার মধ্যে অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন করা। এর পরিপেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে করে ব্রিজের দুই পাশের মানুষের দিন দিন উন্নতি ঘটছে।

এব্যাপারে ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে বাদ পড়েনি দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলও।

তারই ধারাবাহিকতায় লালমোহনের বদরপুর ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে লালমোহন খালের ওপর এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের মধ্যে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে।

ব্রিজটি বদরপুর ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। এই ব্রিজের সুবিধা ভোগ করছে প্রায় এক লক্ষ মানুষ।

ভোলা/ইবিটাইমস