ভিয়েনা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বনজ-ওষুধি গাছের সু-শোভিত ভোলার গঙ্গাকির্ত্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
  • ১৩ সময় দেখুন

বিদ্যালয়ের ছাত্র -ছাত্রীরা পাচ্ছে ভেষজ চিকিৎসা

 ভোলা থেকে মনজুর রহমানঃ ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গাকির্ত্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর বারান্দা যেন বনজ ও ওষুধি গাছে সু-শোভিত। বাহারি প্রজাতির গাছে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী খেলতে গিয়ে বা অন্য কোনভাবে দুর্ঘটনায় আহত কিংবা অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাদের  ওষুধি গাছের লতা-পাতা দিয়ে ভেষজ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহজ পদ্ধতির এমন ভেষজ চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন কোমলমতি শিশুরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মেঘনার কূল ঘেঁষে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। শহরের  বিদ্যালয়েরগুলোর চেয়ে এ বিদ্যালয়ের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। এখানে  জেলে, কৃষক এবং দিন মজুরসহ দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করছে। শিক্ষকরাও আন্তরিকতার সাথে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করাচ্ছেন। শহর থেকে বিদ্যালয়টির দূরুত্ব বেশী হওয়ায় বিদ্যালয়টি যেন গ্রামের আলোর বাতিঘর হিসেবে সু-পরিচিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান জানান, ২ বছর আগে স্কুলের বারান্দায় গাছের চারা রোপন করি।  নানা ধরনের ওষুধি, ফলজ, বনজ ও ফুল গাছ রয়েছে এরমধ্যে। আমরা প্রতিনিয়ত গাছের যত্ন নিচ্ছি। ধীরে ধীরে গাছের সাথে কোমলমতি শিশুদের যেন মিতালি হয়ে উঠছে।

পাঠদানের সুন্দর ও সু-শৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি এবং বৃক্ষের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা তৈরীতে বিদ্যালয়টিকে বনজ ও ওষুধি গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন শিশুরা গাছের সাথে পরিচিত হয়ে তাদের জ্ঞানার্জন হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনায় ভেষজ চিকিৎসা দ্বারা প্রাথমিকভাবে উপকৃতও হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

দেখা গেছে; রক্তচিতা, পুদিনা, এলোভেরা, তুলসি, সন্ধা মালতি, কৈলাশ, পাথর কুচি, বাসক ও থানকুনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৫০ টি চারা রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। যেগুলো স্কুলে সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যাপক উপকারে আসছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মো.  মহিউদ্দিন নিজে উদ্যোগ নিয়ে স্কুলের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় গাছের চারা রোপন করেছেন। ব্যতিক্রমী এ সেবামূলক কাজটি সর্বমহলে এখন ব্যাপক প্রশংসিত। যা অন্যান্য বিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

ভোলা /ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বনজ-ওষুধি গাছের সু-শোভিত ভোলার গঙ্গাকির্ত্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেটের সময় ০৭:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

বিদ্যালয়ের ছাত্র -ছাত্রীরা পাচ্ছে ভেষজ চিকিৎসা

 ভোলা থেকে মনজুর রহমানঃ ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গাকির্ত্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর বারান্দা যেন বনজ ও ওষুধি গাছে সু-শোভিত। বাহারি প্রজাতির গাছে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী খেলতে গিয়ে বা অন্য কোনভাবে দুর্ঘটনায় আহত কিংবা অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাদের  ওষুধি গাছের লতা-পাতা দিয়ে ভেষজ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহজ পদ্ধতির এমন ভেষজ চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন কোমলমতি শিশুরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মেঘনার কূল ঘেঁষে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। শহরের  বিদ্যালয়েরগুলোর চেয়ে এ বিদ্যালয়ের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। এখানে  জেলে, কৃষক এবং দিন মজুরসহ দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করছে। শিক্ষকরাও আন্তরিকতার সাথে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করাচ্ছেন। শহর থেকে বিদ্যালয়টির দূরুত্ব বেশী হওয়ায় বিদ্যালয়টি যেন গ্রামের আলোর বাতিঘর হিসেবে সু-পরিচিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান জানান, ২ বছর আগে স্কুলের বারান্দায় গাছের চারা রোপন করি।  নানা ধরনের ওষুধি, ফলজ, বনজ ও ফুল গাছ রয়েছে এরমধ্যে। আমরা প্রতিনিয়ত গাছের যত্ন নিচ্ছি। ধীরে ধীরে গাছের সাথে কোমলমতি শিশুদের যেন মিতালি হয়ে উঠছে।

পাঠদানের সুন্দর ও সু-শৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি এবং বৃক্ষের প্রতি শিশুদের ভালোবাসা তৈরীতে বিদ্যালয়টিকে বনজ ও ওষুধি গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন শিশুরা গাছের সাথে পরিচিত হয়ে তাদের জ্ঞানার্জন হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনায় ভেষজ চিকিৎসা দ্বারা প্রাথমিকভাবে উপকৃতও হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

দেখা গেছে; রক্তচিতা, পুদিনা, এলোভেরা, তুলসি, সন্ধা মালতি, কৈলাশ, পাথর কুচি, বাসক ও থানকুনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৫০ টি চারা রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। যেগুলো স্কুলে সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যাপক উপকারে আসছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক মো.  মহিউদ্দিন নিজে উদ্যোগ নিয়ে স্কুলের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় গাছের চারা রোপন করেছেন। ব্যতিক্রমী এ সেবামূলক কাজটি সর্বমহলে এখন ব্যাপক প্রশংসিত। যা অন্যান্য বিদ্যালয়ের জন্য অনুকরণীয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

ভোলা /ইবিটাইমস