ভিয়েনা ০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে ১৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলা হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তিতে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ২৫ সময় দেখুন

Exif_JPEG_420

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরে ১৭  ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলা হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য জেনারেটরের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাবস্থা  থাকার কথা থাকলেও  তা যথাযথভাবে নাই । জেনারেটরের যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা  আছে তাতে আবার পুরো হাসপাতালকে সেবা দেয়া সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে  গরমে ভোগান্তির স্বীকার হয়ে রোগীরা সুস্থ হবার পরিবর্তে আরো অসুস্থতার দিকে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের বেড সংকুলান না হওয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের রাখা হয়েছে ফ্লোরে বিছানা দিয়ে। রোগীদের এ নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকলেও গরম সমস্যা, দেখাশেনার অভাবসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। যা সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাকে ফেলছে হুমকির মুখে। আবার শিশু ওয়ার্ডে শিশু ও অভিভাবকরা হাতপাখা চালিয়ে পড়ছেন আরো বেশি অস্বস্তির মধ্যে। তবে সেবিকাদের রুমে লাইট ফ্যান চললেও সে সুবিধা পাচ্ছে না হাসপাতালে কোন রোগীরা।

পাশ্ববর্তী বাগেরহাটের চন্ডিপুর থেকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সুদ্বীপ চন্দ্র শীল জানান, কাল রাতে  বিদ্যুৎ গেছে এখনো   খোঁজ নাই।
হাসপাতালে একটু জেনারেটরেরও ব্যবস্থা নাই। সারা রাত কেউ একটু ঘুমাতে পারি না। একটা সরকারী হাসপাতালে যে সুযোগ সুবিধা থাকার কথা তার কিছুই আমরা পাই না। এখানে কাউকে ডেকে পাইতেও কষ্ট হয়।  প্রধানমন্ত্রী যদি একটু না দেখে তাইলে রোগীদের আরা কোন গতি হবেনা।

আরেক রোগী মন্নাব মন্ডল জানান, সারাটা রাত কারেন্ট নাই। বেড কম, রোগী বেশী। প্রচন্ড গরম, হাত পাখা চালিয়ে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। কারেন্ট গেলে
পড়শু দেখছিলাম একটা বাল্ব জ্বলে, কাল রাতে তাও জ্বলে নাই। আর ফ্যান তো চলেই না।

শিশু ওয়ার্ডের এক অভিভাবক মরজিনা  জানান, মঠবাড়িয়া থেকে বাচ্চার জ্বর নিয়ে আসছি। কারেন্ট নাই অনেরক সময়। গরমে সবার অবস্থাই খারাপ। কিছু করারও নাই।

এদিকে জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, আমাদের যে জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে তাতে পুরো হাসপাতালকে সেবাদেয়া সম্ভব না। তাই রোগীরা গরমে কষ্ট পেলেও আমাদের জেনারেটরের মধ্যেমে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, হাসপাতালে যে জেনারেটরটি আছে সেটি পুরো হাসপাতালকে সেবা দিতে অক্ষম। তাই হাসপাতালে জেনারেটর সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৭ জুলাই) রাত ৩টার দিকে একটি চাল বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে থাকা ৩৩ কেভি সোর্স লাইনের বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। এতে পিরোজপুর জেলা শহর সহ পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস

Tag :
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পিরোজপুরে ১৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলা হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তিতে

আপডেটের সময় ০৩:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরে ১৭  ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলা হাসপাতালের রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য জেনারেটরের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাবস্থা  থাকার কথা থাকলেও  তা যথাযথভাবে নাই । জেনারেটরের যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা  আছে তাতে আবার পুরো হাসপাতালকে সেবা দেয়া সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে  গরমে ভোগান্তির স্বীকার হয়ে রোগীরা সুস্থ হবার পরিবর্তে আরো অসুস্থতার দিকে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের বেড সংকুলান না হওয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের রাখা হয়েছে ফ্লোরে বিছানা দিয়ে। রোগীদের এ নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকলেও গরম সমস্যা, দেখাশেনার অভাবসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। যা সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাকে ফেলছে হুমকির মুখে। আবার শিশু ওয়ার্ডে শিশু ও অভিভাবকরা হাতপাখা চালিয়ে পড়ছেন আরো বেশি অস্বস্তির মধ্যে। তবে সেবিকাদের রুমে লাইট ফ্যান চললেও সে সুবিধা পাচ্ছে না হাসপাতালে কোন রোগীরা।

পাশ্ববর্তী বাগেরহাটের চন্ডিপুর থেকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সুদ্বীপ চন্দ্র শীল জানান, কাল রাতে  বিদ্যুৎ গেছে এখনো   খোঁজ নাই।
হাসপাতালে একটু জেনারেটরেরও ব্যবস্থা নাই। সারা রাত কেউ একটু ঘুমাতে পারি না। একটা সরকারী হাসপাতালে যে সুযোগ সুবিধা থাকার কথা তার কিছুই আমরা পাই না। এখানে কাউকে ডেকে পাইতেও কষ্ট হয়।  প্রধানমন্ত্রী যদি একটু না দেখে তাইলে রোগীদের আরা কোন গতি হবেনা।

আরেক রোগী মন্নাব মন্ডল জানান, সারাটা রাত কারেন্ট নাই। বেড কম, রোগী বেশী। প্রচন্ড গরম, হাত পাখা চালিয়ে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। কারেন্ট গেলে
পড়শু দেখছিলাম একটা বাল্ব জ্বলে, কাল রাতে তাও জ্বলে নাই। আর ফ্যান তো চলেই না।

শিশু ওয়ার্ডের এক অভিভাবক মরজিনা  জানান, মঠবাড়িয়া থেকে বাচ্চার জ্বর নিয়ে আসছি। কারেন্ট নাই অনেরক সময়। গরমে সবার অবস্থাই খারাপ। কিছু করারও নাই।

এদিকে জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, আমাদের যে জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে তাতে পুরো হাসপাতালকে সেবাদেয়া সম্ভব না। তাই রোগীরা গরমে কষ্ট পেলেও আমাদের জেনারেটরের মধ্যেমে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি বলেন, হাসপাতালে যে জেনারেটরটি আছে সেটি পুরো হাসপাতালকে সেবা দিতে অক্ষম। তাই হাসপাতালে জেনারেটর সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৭ জুলাই) রাত ৩টার দিকে একটি চাল বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে থাকা ৩৩ কেভি সোর্স লাইনের বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। এতে পিরোজপুর জেলা শহর সহ পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস