ভিয়েনা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানের মধ্যে বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ১৪ সময় দেখুন

চীনের দিকে নজর রেখেই আসিয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক সহযোগিতার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে,যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইষ্ট এশিয়ান ন্যাশনস আসিয়ানের সাথে সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

আসিয়ান ভুক্ত দেশের নেতারা একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ওয়াশিংটনে একত্রিত হয়েছেন যাকে চীনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রদর্শন হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

আসিয়ানের সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তবে এই জলপথের সবটাই বেইজিং নিজের বলে দাবি করছে। তারা গত এক দশক ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে ভূমি ভরাট করছে এবং বিভিন্ন দ্বীপে তাদের সামরিকীকরণ করেছে অর্থাৎ সামরিক স্থাপনা
প্রতিষ্ঠা করছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আঞ্চলিক নতুন সামুদ্রিক উদ্যোগ হিসেবে ৬ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আসিয়ান দেশ সমূহকে। ঐ উদ্যোগের আওতায় সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ বাড়িয়ে তোলা এবং অবৈধ, গণনার বাইরে এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে উপকূলীয় দেশগুলির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে নিজেদের জাহাজ চলাচল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমাদের কর্মতৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। আসিয়ানের সঙ্গে আমাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।”

শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ব্লকের সঙ্গে“একটি স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে।”

মারসুদি বলেন, তার দেশ “আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার” নীতি ধরে রেখেছে এবং আশা করে যে ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঐ অঞ্চলে “শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ এই শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে দক্ষিণ চীন সাগরের আলোচনা শীর্ষে ছিল।

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানের মধ্যে বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটের সময় ১২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

চীনের দিকে নজর রেখেই আসিয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক সহযোগিতার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে,যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইষ্ট এশিয়ান ন্যাশনস আসিয়ানের সাথে সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

আসিয়ান ভুক্ত দেশের নেতারা একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ওয়াশিংটনে একত্রিত হয়েছেন যাকে চীনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রদর্শন হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

আসিয়ানের সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তবে এই জলপথের সবটাই বেইজিং নিজের বলে দাবি করছে। তারা গত এক দশক ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে ভূমি ভরাট করছে এবং বিভিন্ন দ্বীপে তাদের সামরিকীকরণ করেছে অর্থাৎ সামরিক স্থাপনা
প্রতিষ্ঠা করছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আঞ্চলিক নতুন সামুদ্রিক উদ্যোগ হিসেবে ৬ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আসিয়ান দেশ সমূহকে। ঐ উদ্যোগের আওতায় সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ বাড়িয়ে তোলা এবং অবৈধ, গণনার বাইরে এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে উপকূলীয় দেশগুলির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে নিজেদের জাহাজ চলাচল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বাইডেন প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমাদের কর্মতৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। আসিয়ানের সঙ্গে আমাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।”

শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ব্লকের সঙ্গে“একটি স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে।”

মারসুদি বলেন, তার দেশ “আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার” নীতি ধরে রেখেছে এবং আশা করে যে ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঐ অঞ্চলে “শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ এই শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে দক্ষিণ চীন সাগরের আলোচনা শীর্ষে ছিল।

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস