ভিয়েনা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রিয়ায় করোনার নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট আবিষ্কৃত হয়েছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ১৪ সময় দেখুন

অস্ট্রিয়া থেকে সহসা শেষ হচ্ছে না বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন একটি নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট অস্ট্রিয়ায় পুনরায় সংক্রমণের বিস্তার ঘটাচ্ছে

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে,অস্ট্রিয়ায় করোনা মহামারী থামছে না। অস্ট্রিয়ায় একটি নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট উপস্থিত হয়েছে। দেশের বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট আন্দ্রেয়াস বার্গথালার এক টুইট বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।নতুন আবিষ্কৃত এই ভ্যারিয়েন্টের নমুনাগুলিতে BA.1.1 স্পাইকের সাথে BA.2 এর পূর্বে অবর্ণিত পুনর্মিলন নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের BA.1.1 এবং BA.2 এর সংমিশ্রণে এই নতুন রিকম্বিন্যান্টটি সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এখন অবধি উপলব্ধ ডেটার উপর ভিত্তি করে এই করোনা ভেরিয়েন্টের সাথে বৈশিষ্ট্যগুলিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আশা করা হবে না।অতএব, উদ্বেগের কোনও মহামারী বা ক্লিনিকাল কারণ নাই বলে আপাতত বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন। তবে এর কারণে সংক্রমণের বিস্তার অব্যাহত থাকবে।

“করোনাভাইরাসগুলি শুধুমাত্র পৃথক জেনেটিক অক্ষরই পরিবর্তন করে না, বরং বৃহত্তর জেনেটিক অঞ্চলগুলিকেও পরিবর্তন করতে পারে,” বার্গথালার একটি টুইটে ব্যাখ্যা করেছেন।  এর পূর্বশর্ত হল একটি হোস্ট একই সময়ে দুটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং উভয়ই একই কোষে প্রবেশ করে।  “দুটিই একসাথে অসম্ভাব্য – তবে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলে সম্ভব।”  গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে এখন পর্যন্ত বর্ণিত SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্টগুলির মধ্যে রয়েছে Delta+BA.1 (“Deltacron”, XD), BA.1+BA.2 (XE) এবং এছাড়াও Delta+BA.2 (XF) .

অস্ট্রিয়ান নতুন এই রিকম্বিন্যান্টকে BA.1.1-এর প্রায় সম্পূর্ণ স্পাইকের সাথে BA.2-এর সংমিশ্রণ বলা হয়।  দুটি ক্রমিক নমুনার একটি অভিন্ন জিনোম রয়েছে।  একটি সম্ভাব্য সংযোগ তাই সুস্পষ্ট, কিন্তু মহামারী বিদ্যাগতভাবে নিশ্চিত নয়। আগামী শরতের দিকে লক্ষ্য রেখে, এই উদাহরণটি SARS-CoV-2 এর সম্ভাব্য দ্রুত বিবর্তন দেখায়।  তাই ভবিষ্যত বৈকল্পিক সম্পর্কে কোন নিশ্চিততা নেই, জোর দিয়েছেন বার্গথালার।

এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ২১,০৭৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৫,০৫০ জন।

অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৫,৩৩৫ জন, OÖ রাজ্যে ৩,৭০৮ জন, Steiermark রাজ্যে ২,৭২২ জন, Tirol রাজ্যে ১,১১০ জন, Salzburg রাজ্যে ১,০৫৯ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৮৫৩ জন, Burgenland রাজ্যে ৬৬৭ জন এবং Kärnten রাজ্যে ৫৭২ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২০৩ জন এবং করোনার প্রতিষেধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ২,৬২৫ জন।

অস্ট্রিয়ায় বর্তমানে করোনার প্রতিষেধক টিকার বৈধ সনদ বা গ্রিন পাসের অধিকারী প্রায় ৬১,৮৭,১০১ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৮,৯ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,৩৩,৬৮২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬,০৯৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৩৬,৭৪,১০৭ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,৪৩,৪৭৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২২৬ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,৮৭৩ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

অস্ট্রিয়ায় করোনার নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট আবিষ্কৃত হয়েছে

আপডেটের সময় ০৪:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

অস্ট্রিয়া থেকে সহসা শেষ হচ্ছে না বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন একটি নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট অস্ট্রিয়ায় পুনরায় সংক্রমণের বিস্তার ঘটাচ্ছে

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে,অস্ট্রিয়ায় করোনা মহামারী থামছে না। অস্ট্রিয়ায় একটি নতুন SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্ট উপস্থিত হয়েছে। দেশের বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট আন্দ্রেয়াস বার্গথালার এক টুইট বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।নতুন আবিষ্কৃত এই ভ্যারিয়েন্টের নমুনাগুলিতে BA.1.1 স্পাইকের সাথে BA.2 এর পূর্বে অবর্ণিত পুনর্মিলন নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের BA.1.1 এবং BA.2 এর সংমিশ্রণে এই নতুন রিকম্বিন্যান্টটি সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এখন অবধি উপলব্ধ ডেটার উপর ভিত্তি করে এই করোনা ভেরিয়েন্টের সাথে বৈশিষ্ট্যগুলিতে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আশা করা হবে না।অতএব, উদ্বেগের কোনও মহামারী বা ক্লিনিকাল কারণ নাই বলে আপাতত বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন। তবে এর কারণে সংক্রমণের বিস্তার অব্যাহত থাকবে।

“করোনাভাইরাসগুলি শুধুমাত্র পৃথক জেনেটিক অক্ষরই পরিবর্তন করে না, বরং বৃহত্তর জেনেটিক অঞ্চলগুলিকেও পরিবর্তন করতে পারে,” বার্গথালার একটি টুইটে ব্যাখ্যা করেছেন।  এর পূর্বশর্ত হল একটি হোস্ট একই সময়ে দুটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং উভয়ই একই কোষে প্রবেশ করে।  “দুটিই একসাথে অসম্ভাব্য – তবে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলে সম্ভব।”  গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে এখন পর্যন্ত বর্ণিত SARS-CoV-2 রিকম্বিন্যান্টগুলির মধ্যে রয়েছে Delta+BA.1 (“Deltacron”, XD), BA.1+BA.2 (XE) এবং এছাড়াও Delta+BA.2 (XF) .

অস্ট্রিয়ান নতুন এই রিকম্বিন্যান্টকে BA.1.1-এর প্রায় সম্পূর্ণ স্পাইকের সাথে BA.2-এর সংমিশ্রণ বলা হয়।  দুটি ক্রমিক নমুনার একটি অভিন্ন জিনোম রয়েছে।  একটি সম্ভাব্য সংযোগ তাই সুস্পষ্ট, কিন্তু মহামারী বিদ্যাগতভাবে নিশ্চিত নয়। আগামী শরতের দিকে লক্ষ্য রেখে, এই উদাহরণটি SARS-CoV-2 এর সম্ভাব্য দ্রুত বিবর্তন দেখায়।  তাই ভবিষ্যত বৈকল্পিক সম্পর্কে কোন নিশ্চিততা নেই, জোর দিয়েছেন বার্গথালার।

এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ২১,০৭৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৫,০৫০ জন।

অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৫,৩৩৫ জন, OÖ রাজ্যে ৩,৭০৮ জন, Steiermark রাজ্যে ২,৭২২ জন, Tirol রাজ্যে ১,১১০ জন, Salzburg রাজ্যে ১,০৫৯ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৮৫৩ জন, Burgenland রাজ্যে ৬৬৭ জন এবং Kärnten রাজ্যে ৫৭২ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২০৩ জন এবং করোনার প্রতিষেধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ২,৬২৫ জন।

অস্ট্রিয়ায় বর্তমানে করোনার প্রতিষেধক টিকার বৈধ সনদ বা গ্রিন পাসের অধিকারী প্রায় ৬১,৮৭,১০১ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৮,৯ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,৩৩,৬৮২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬,০৯৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৩৬,৭৪,১০৭ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,৪৩,৪৭৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২২৬ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,৮৭৩ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস