ভিয়েনা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমুদ্র পথে ইতালি আসার পথে সাত বাংলাদেশীর মৃত্যু

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ২৬ সময় দেখুন

অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব আয়েবাপিসির সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশন ইতালির প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন যমুনা টেলিভিশনের  সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান।

ইউরোপ ডেস্কঃ জাকির হোসেন সুমন জানান, নৌকায় করে ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত সাত বাংলাদেশি হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷ ছোট একটি নৌকাতে গাদাগাদি করে ২৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছে নৌকাটি মিশরের উপকূল থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।নৌকাটিতে বাংলাদেশি ও মিশরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী সহ আরও  কয়েকটি আফ্রিকান দেশের নাগরিক ছিল বলে জানা গেছে।

জাকির হোসেন সুমন আরও জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। হাইপোথেরিয়া হল এমন একটি অবস্থা যখন শরীরের তাপমাত্রা অধিক মাত্রায় হ্রাস পায়। মানুষের মধ্যে, এটি ৩৫,০ শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৫,০ ডিগ্রী ফারেনহাইট) নীচে শরীরের মূল তাপমাত্রা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উপসর্গ তাপমাত্রা উপর নির্ভর করে।হালকা হাইপোথেরিয়াতে কম্পন এবং মানসিক বিভ্রান্তিও দেখা দিতে পারে।

এদিকে ইতালির সংবাদ সংস্থা আনসা গতকাল মঙ্গলবার জানান,ইতালির উপকূলরক্ষীরা ল্যাম্পেদুসা উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নৌকাটিকে শনাক্তে সক্ষম হন৷ সেসময় তারা সেটিতে তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান৷ তবে, নৌকাটি তীরে ভিড়তে ভিড়তে আরো চারজন মারা যান ৷ পরে জানা গেছে মৃতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে নিহতরা বাংলাদেশের কোন জেলার লোক তা জানা যায় নি বলে জানান ইতালির যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন।

অন্যদিকে জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে এখনো ইউরোপে ঢুকছেন বাংলাদেশিরা। উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া, মিশর ও মরোক্কো থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকায় চড়ে তারা ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ছয়টি ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল ইনফোমাইগ্রেন্টস জানান, ল্যাম্পেদুসার মেয়র সালভাতোরে মারতেলো মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নৌকাটিতে ২৮০ জনের মতো যাত্রী ছিল যারা মূলত বাংলাদেশ, এবং মিশরের নাগরিক ৷

প্রসঙ্গত, ইউরোপে উন্নত ও নিরাপদ জীবনের আশায় প্রতি বছর লাখ লাখ আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসী অনিয়মিত পথে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন ৷ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নৌকায় করে সেদেশে প্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে৷ ঝুঁকিপূর্ণ এই পথে অনেকে ইউরোপে প্রবেশে সক্ষম হলেও প্রাণহানির ঘটনাও নিয়মিতই ঘটছে ৷

ইতালি সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৫১ জন অভিবাসী দেশটির বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছেছেন ৷

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সমুদ্র পথে ইতালি আসার পথে সাত বাংলাদেশীর মৃত্যু

আপডেটের সময় ০৪:০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব আয়েবাপিসির সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশন ইতালির প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন যমুনা টেলিভিশনের  সাথে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান।

ইউরোপ ডেস্কঃ জাকির হোসেন সুমন জানান, নৌকায় করে ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত সাত বাংলাদেশি হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷ ছোট একটি নৌকাতে গাদাগাদি করে ২৮০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিক খবরে বলা হয়েছে নৌকাটি মিশরের উপকূল থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।নৌকাটিতে বাংলাদেশি ও মিশরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী সহ আরও  কয়েকটি আফ্রিকান দেশের নাগরিক ছিল বলে জানা গেছে।

জাকির হোসেন সুমন আরও জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। হাইপোথেরিয়া হল এমন একটি অবস্থা যখন শরীরের তাপমাত্রা অধিক মাত্রায় হ্রাস পায়। মানুষের মধ্যে, এটি ৩৫,০ শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৫,০ ডিগ্রী ফারেনহাইট) নীচে শরীরের মূল তাপমাত্রা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উপসর্গ তাপমাত্রা উপর নির্ভর করে।হালকা হাইপোথেরিয়াতে কম্পন এবং মানসিক বিভ্রান্তিও দেখা দিতে পারে।

এদিকে ইতালির সংবাদ সংস্থা আনসা গতকাল মঙ্গলবার জানান,ইতালির উপকূলরক্ষীরা ল্যাম্পেদুসা উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে নৌকাটিকে শনাক্তে সক্ষম হন৷ সেসময় তারা সেটিতে তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান৷ তবে, নৌকাটি তীরে ভিড়তে ভিড়তে আরো চারজন মারা যান ৷ পরে জানা গেছে মৃতরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে নিহতরা বাংলাদেশের কোন জেলার লোক তা জানা যায় নি বলে জানান ইতালির যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন।

অন্যদিকে জার্মানির সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে এখনো ইউরোপে ঢুকছেন বাংলাদেশিরা। উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া, মিশর ও মরোক্কো থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকায় চড়ে তারা ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে ছয়টি ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল ইনফোমাইগ্রেন্টস জানান, ল্যাম্পেদুসার মেয়র সালভাতোরে মারতেলো মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নৌকাটিতে ২৮০ জনের মতো যাত্রী ছিল যারা মূলত বাংলাদেশ, এবং মিশরের নাগরিক ৷

প্রসঙ্গত, ইউরোপে উন্নত ও নিরাপদ জীবনের আশায় প্রতি বছর লাখ লাখ আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসী অনিয়মিত পথে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন ৷ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নৌকায় করে সেদেশে প্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে৷ ঝুঁকিপূর্ণ এই পথে অনেকে ইউরোপে প্রবেশে সক্ষম হলেও প্রাণহানির ঘটনাও নিয়মিতই ঘটছে ৷

ইতালি সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৫১ জন অভিবাসী দেশটির বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছেছেন ৷

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস