ভিয়েনা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ২৮ সময় দেখুন

ঢাকা: উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রবিবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা, দমন-পীড়ন ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তর করে বিশ্ব মঞ্চে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।’

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সংসদ নেতা।

এর আগে, দিনের অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবে বলেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উদযাপন বাঙালীর জাতীয় জীবনে এক  গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’।

বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসন শেষে আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করি। এরপর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করি। ফলে, পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়। বিচার করা হয় যুদ্ধাপরাধীদের। ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০০৮ সালের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়ন ও প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে জাতীয় সংসদ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জ উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ-বৈষম্যহীন, উন্নত-সমৃদ্ধ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে অধিষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যয়।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটের সময় ০৬:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা: উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রবিবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনার জন্য জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা, দমন-পীড়ন ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তর করে বিশ্ব মঞ্চে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।’

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সংসদ নেতা।

এর আগে, দিনের অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে স্মারক ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবে বলেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উদযাপন বাঙালীর জাতীয় জীবনে এক  গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’।

বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসন শেষে আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করি। এরপর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করি। ফলে, পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়। বিচার করা হয় যুদ্ধাপরাধীদের। ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০০৮ সালের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার সফল বাস্তবায়ন ও প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে জাতীয় সংসদ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জ উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ-বৈষম্যহীন, উন্নত-সমৃদ্ধ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে অধিষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যয়।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ