পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী বরিশাল মহা সড়ে নির্মিত লেবুখালী-পায়রা সেতু। দ্রত সময়ের মধ্যে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে বর্তমান লেবুখালী ফেরিতে বিভিন্ন ধরনের আচার,ফল ,চিড়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হকারদে পেশা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এ কারনে এসব হকারদের পূর্নবাসনের দাবীতে সোমবার সকালে লেবুখালী ফেরি ঘাটে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শতাধিক হকাররা। হকারদের দলনেতা মোঃ আলাম ফরাজি তার বক্তব্যে বলেন, পায়রা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া দেড়শতাধিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পেশা ফেরীঘাটে ক্ষুদ্র ও হকারিব্যবসা। আমরা লেবুখালী ফেরীঘাটে চানাচুর, আমড়া, ঝালমুড়ি, কলা, ডিম, পান, পানি, মাছ, শরবত সহ নানা প্রকার খাদ্য দ্রব্য ফুটপাতে ও ফেরীতে বেচা-বিক্রি করে কোনমতে স্ত্রী-পরিজন নিয়ে বেঁচেআছি।
হকাররা প্রত্যেককে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও ঋণের মূলধন নিয়ে ব্যবসা করতেছি এবং প্রত্যেকেই সপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। ফেরীঘাট বন্ধের পর আমাদের কর্মসংস্থান থাকবেনা। ব্যবসা বন্ধ হলে এসব হকার পরিবার পরিজন নিয়ে না থেয়ে থাকতে হবে। ঋণের কিস্তির জালায় আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবেনা। তাই বর্তমান সরকার প্রধান মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অসহায় হকার পরিবার গুলোকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ চান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইদ্রিসশরীফ, আব্বাস হোসেন প্রমুখ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশিদ প্যাদা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত এসব হকাররা লেবুখালী ফেরিঘাটে হকারি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী তাদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কোন বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেন তবে তারা খেয়ে পরে বেচেঁ থাকতে পারবে।
এ বিয়য়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ তাই যত দ্রত সম্ভব হকারদের তালিকা তৈরী করে আমরা আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কিছু করা যায় কিনা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, লেবুখালী ফেরীঘাটে দক্ষিনাঞ্চল বাসির স্বপ্নের পায়রা সেতু নির্মিত হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/ইবিটাইমস