ঢাকা ডেস্ক: লকডাউন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী পারাপার চলমান রয়েছে। এবার শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় আরও বেড়েছে যাত্রী পারাপার।
শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল থেকে নৌরুটের ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহনের সঙ্গে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী উভয়মুখী প্রচুর যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী শুধু রোগী বহনকারী এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু চলমান নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যাত্রীরা ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্টে যাত্রীদের ঘাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউনের নির্দেশনা মানার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঘাটে উপস্থিত হচ্ছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকেও ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন অনেকে।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী আরও কঠোর কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। যেকোনো সময় এ ধরনের ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সরকারের এ ধরণের ঘোষণার বিষয়টা ভেবেই প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে অনেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করছেন। পরিবহন না থাকায় বেশিরভাগই পড়ছেন ভোগান্তিতে। এমনকি মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও।
ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএন