ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র (ইউএনও) অফিসের সি.এ মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রভাব খাটিয়ে লুট-পাট করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, তিনি গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ইউএনও (রোজি আক্তার) বাসভবনের আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ৫ লাখ টাকার পুরোটাই আত্মসৎ করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারী মো. তৌহিদুল ইসলাম সহ একাধীক কর্মচারীরা জানান, গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীদের ভাতার টাকা না দিয়ে তা তিনি আত্মসৎ করেছেন। নাম প্রকাশ না করারা শর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, ইউএনও অফিনের সিএ রুহুল আমীন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে ভুয়া কাজের প্রজেক্ট দেখিয়ে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসৎ করেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী কোয়ার্টার সরকারী টাকায় সংস্কার করে গত ৪ বছর ধরে সেখানে বসবাস করলেও তার কোন ভাড়া প্রদান করছেন না।
ওই অফিসের একাধীক কর্মচারীরা জানান, গত ৪ বছর আগে তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আ’লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ট পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন।
এসব অভিযোগের বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে সিএ রুহুল আমীন জানান, বাসা ভাড়া নিয়মিত দিচ্ছেন, ফার্নিচার ক্রয় করেছে। তবে নির্বাচনী ডিউটির টাকা কিছু অংশ রেখেছের অফিসের খরচের জন্য বাকী টাকা বন্টন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, কেহ তাকে হয়রানী করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবি টাইমস