ভিয়েনা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠির আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ড্রেনেজ উপপ্রকল্পে খাল খনন গ্রামীণ উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
  • ১৪ সময় দেখুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নে আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলজিইডির সহায়তায় খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এই খাল খননের ফলে এলাকার কৃষি জমি মৌসুমী আবাদের উপযোগী হয়েছে। এতে এলাকার গরীব চাষীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। খাল খননের পর  ১৪০ হেক্টর জমি চাষাবাদে সুবিধা ভোগ করছেন পাঁচ শতাধিক কৃষক।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উদ্যোগে গাউছার পোলের খাল, নয়া বাড়ির খাল,করিম সিকদার বাড়ি খাল,তালুকদার বাড়ি খাল, নুর মোহাম্মদ বাড়ি খাল মোট ৫টি খালের প্রায় ৭.২০০ কি.মি. পুনঃখনন করা হয়েছে। এতে মোট ১৪টি এল.সি.এস. কাজ করে। যার মধ্যে ২৫০ জন পুরুষ ও ১০০ জন মহিলা শ্রমিক কাজ করছে। এই কাজের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। খালের মাটি দ্বারা দুই পাশ্বের রাস্তা মেরামত করে জনগণের চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের্ব সামাজিক বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে এবং পাখিদের অভয়াশ্রম তৈরি হয়েছে।

খাল পুনঃখননের ফলে বোরো ধানের পুনরায় চাষাবাদ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। রবি ফসলের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ, এক ফসলীয় জমিকে বহু ফসলীয় জমিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছে। ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি, পতিত জমির পরিমাণ কমছে, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের সারা বছরই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর কৃষি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

খাল ডিজাইন অনুযায়ী খুবই সুন্দর ভাবে কাটার ফলে এলাকার জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যাক্তি ও জনসাধারণ সন্তস প্রকাশ করেছে।

ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, “মাননীয়  প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য অনুসারে কোন আবাদী জমি পতিত রাখা যাবে না। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সমস্ত জমিগুলোকে আবাদি জমিতে রুপান্তরিত করতে হবে”। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাল খননের সুবিধা দেখে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ বাস্তবায়নকারী দপ্তর (এলজিইডি)-র কাজকর্মে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। গ্রামীণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাল খননের প্রভাব ফেলেছে।

বাধন রায় /ইবি টাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঝালকাঠির আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ড্রেনেজ উপপ্রকল্পে খাল খনন গ্রামীণ উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব

আপডেটের সময় ০৪:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির সদর উপজেলার বিনয়কাঠী ইউনিয়নে আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলজিইডির সহায়তায় খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এই খাল খননের ফলে এলাকার কৃষি জমি মৌসুমী আবাদের উপযোগী হয়েছে। এতে এলাকার গরীব চাষীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। খাল খননের পর  ১৪০ হেক্টর জমি চাষাবাদে সুবিধা ভোগ করছেন পাঁচ শতাধিক কৃষক।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আশিয়ার পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উদ্যোগে গাউছার পোলের খাল, নয়া বাড়ির খাল,করিম সিকদার বাড়ি খাল,তালুকদার বাড়ি খাল, নুর মোহাম্মদ বাড়ি খাল মোট ৫টি খালের প্রায় ৭.২০০ কি.মি. পুনঃখনন করা হয়েছে। এতে মোট ১৪টি এল.সি.এস. কাজ করে। যার মধ্যে ২৫০ জন পুরুষ ও ১০০ জন মহিলা শ্রমিক কাজ করছে। এই কাজের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। খালের মাটি দ্বারা দুই পাশ্বের রাস্তা মেরামত করে জনগণের চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের্ব সামাজিক বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে এবং পাখিদের অভয়াশ্রম তৈরি হয়েছে।

খাল পুনঃখননের ফলে বোরো ধানের পুনরায় চাষাবাদ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। রবি ফসলের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ, এক ফসলীয় জমিকে বহু ফসলীয় জমিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছে। ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি, পতিত জমির পরিমাণ কমছে, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের সারা বছরই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর কৃষি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

খাল ডিজাইন অনুযায়ী খুবই সুন্দর ভাবে কাটার ফলে এলাকার জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যাক্তি ও জনসাধারণ সন্তস প্রকাশ করেছে।

ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, “মাননীয়  প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য অনুসারে কোন আবাদী জমি পতিত রাখা যাবে না। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সমস্ত জমিগুলোকে আবাদি জমিতে রুপান্তরিত করতে হবে”। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাল খননের সুবিধা দেখে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ বাস্তবায়নকারী দপ্তর (এলজিইডি)-র কাজকর্মে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। গ্রামীণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাল খননের প্রভাব ফেলেছে।

বাধন রায় /ইবি টাইমস