ভিয়েনা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের ১৮ টি রাজ্যে করোনার নতুন ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
  • ১৩ সময় দেখুন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এবং সিএনএন জানিয়েছেন যে, ভারতে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ কোভিড ভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ।

সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে,ভারতে আবিষ্কৃত এই নতুন ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাসটি বর্তমানে সে দেশের ১৮টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ।

বিবিসি জানায়,‘ডাবল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাসের দুইটি মিউটেশন বা ডিএনএ পরিবর্তনের দুই ধরনের ক্ষমতা থাকে, যা শরীরের সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ করে বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।’ ভারতে ১০ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের আরও ৭৭১টি ধরন শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৭৩৬টি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরন, ৩৪টি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরন, আর একটি ব্রাজিলের ভাইরাসের ধরন পাওয়া গেছে। তবে ভারত সরকার বলছে, সাম্প্রতিক নতুন শনাক্ত রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে এই নতুন ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নাই।

ভাইরাসের মধ্যে থাকা জেনেটিক কোড অনেকটা ব্যবহার বিবরণীর মতো। ভাইরাসের ক্ষেত্রে মিউটেশন বা ডিএনএ-র পরিবর্তন করাও স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো এত বেশি গুরুত্বহীন যে, শরীরের ভেতর বড় কোন অসুস্থতা বা সংক্রমণ তৈরি করতে পারে না। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনের ভাইরাসের কিছু কিছু মিউটেশন আরও বেশি সংক্রামক এমনকি মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি আরও জানান, বৃটিশ ভাইরোলজিস্ট শহিদ জামিল ব্যাখ্যা করে বলছেন, ডাবল মিউটেশন মানে হলো, কোন একটা ভাইরাসে একই সঙ্গে দুইটি মিউটেশন বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন ”ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে দুইটি মিউটেশন থাকার মানে হলো, সেটি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং ভাইরাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফলে এটি আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানিয়েছেন, আজ ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৪৭,৫৯৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬২ জন। ভারতে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬০৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ১ কোটি ১২ লক্ষ ৫৬ হাজার ০৩২ জন।ভারতে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৮,৩১৮ জন।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভারতের ১৮ টি রাজ্যে করোনার নতুন ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে

আপডেটের সময় ০৪:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এবং সিএনএন জানিয়েছেন যে, ভারতে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ কোভিড ভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ।

সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে,ভারতে আবিষ্কৃত এই নতুন ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাসটি বর্তমানে সে দেশের ১৮টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ।

বিবিসি জানায়,‘ডাবল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাসের দুইটি মিউটেশন বা ডিএনএ পরিবর্তনের দুই ধরনের ক্ষমতা থাকে, যা শরীরের সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ করে বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।’ ভারতে ১০ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের আরও ৭৭১টি ধরন শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৭৩৬টি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরন, ৩৪টি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরন, আর একটি ব্রাজিলের ভাইরাসের ধরন পাওয়া গেছে। তবে ভারত সরকার বলছে, সাম্প্রতিক নতুন শনাক্ত রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে এই নতুন ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নাই।

ভাইরাসের মধ্যে থাকা জেনেটিক কোড অনেকটা ব্যবহার বিবরণীর মতো। ভাইরাসের ক্ষেত্রে মিউটেশন বা ডিএনএ-র পরিবর্তন করাও স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো এত বেশি গুরুত্বহীন যে, শরীরের ভেতর বড় কোন অসুস্থতা বা সংক্রমণ তৈরি করতে পারে না। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনের ভাইরাসের কিছু কিছু মিউটেশন আরও বেশি সংক্রামক এমনকি মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি আরও জানান, বৃটিশ ভাইরোলজিস্ট শহিদ জামিল ব্যাখ্যা করে বলছেন, ডাবল মিউটেশন মানে হলো, কোন একটা ভাইরাসে একই সঙ্গে দুইটি মিউটেশন বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন ”ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে দুইটি মিউটেশন থাকার মানে হলো, সেটি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং ভাইরাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফলে এটি আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানিয়েছেন, আজ ভারতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৪৭,৫৯৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬২ জন। ভারতে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬০৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ১ কোটি ১২ লক্ষ ৫৬ হাজার ০৩২ জন।ভারতে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৮,৩১৮ জন।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস