ভিয়েনা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠির জেলা জুড়ে বসন্তের বার্তা নিয়ে আম গাছে মুকুল ধরেছে

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির জেলা জুড়ে বসন্তের বার্তা নিয়ে আম গাছে মুকুল ধরেছে। এই সময়ে আমগাছে মুকুল মানুষকে আকর্ষন করছে। ঝালকাঠি জেলায় কি পরিমান আমা গাছ রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান বনবিভাগের কাছে নেই। বনবিভাগের হিসাব ধারণা মতে জেলায় ২ লক্ষাধিক আম গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

তবে এই অঞ্চলে আম গাছের পরিচর্যা করে  পরিকল্পিত চাষাবাদ করে না। এই সকল আম গাছের মালিক একে প্রকৃতির দান হিসাবে নিয়ে থাকেন। এই সকল আমগাছের ফলন টক-মিষ্টি মিশ্র জাতের। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক বছর ধরে বানিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এই আম বাগানের মালিকরা ফলন ধরে রাখার স্বার্থে মুকুল আসার পূর্বে এবং পরে  কিটনাশক স্প্রে-ব্যবহার করে। এর ফলে আমার পোকা ধরে না এবং মুকুল থেকে ফলন ঝড়ে পরে না। এই সকল বাগানগুলিতে,বাগান মালিকরা বানিজ্যিক চাহিদা পূরনের জন্য আম্ররূপলি, রুপালি, সোঁনালী, চোষা,সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলন শীল  আমের চাষ করেণ।

ঝালকাঠি জেলায় এই ধরণের বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের পরিমান প্রতিবছরই বাড়ছে এবং কৃষি বিভাগের হিসাবমতে প্রায় ৫০০ হেক্টরে বর্তমানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে আমের বাগান গড়ে উঠেছে। স্থানীয়ভাবে চাষ করা আম ফরমালিনমুক্ত হওয়ার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।

বিগত বছরের বে-সরকারি পরিসংখ্যান  অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে ও বানিজ্যিক ভাবে চাষকরা আম থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা কেনা বেচা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক ভাবে আমের বাগান নলছিটি উপজেলার পাওতা গ্রামে রয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার বেতরা, কাপুরকাঠি, শতদশকাঠি, ভীমরুলি ও কৃত্তিপাশা এলাকায় বানিজ্যিক আমের বাগান রয়েছে। এছাড়াও জেলার রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় ছোট ছোট আকারে আমের বাগান গড়ে উঠেছে।

বাধন রায়/ ইবি টাইমস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঝালকাঠির জেলা জুড়ে বসন্তের বার্তা নিয়ে আম গাছে মুকুল ধরেছে

আপডেটের সময় ০৮:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির জেলা জুড়ে বসন্তের বার্তা নিয়ে আম গাছে মুকুল ধরেছে। এই সময়ে আমগাছে মুকুল মানুষকে আকর্ষন করছে। ঝালকাঠি জেলায় কি পরিমান আমা গাছ রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান বনবিভাগের কাছে নেই। বনবিভাগের হিসাব ধারণা মতে জেলায় ২ লক্ষাধিক আম গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

তবে এই অঞ্চলে আম গাছের পরিচর্যা করে  পরিকল্পিত চাষাবাদ করে না। এই সকল আম গাছের মালিক একে প্রকৃতির দান হিসাবে নিয়ে থাকেন। এই সকল আমগাছের ফলন টক-মিষ্টি মিশ্র জাতের। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক বছর ধরে বানিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এই আম বাগানের মালিকরা ফলন ধরে রাখার স্বার্থে মুকুল আসার পূর্বে এবং পরে  কিটনাশক স্প্রে-ব্যবহার করে। এর ফলে আমার পোকা ধরে না এবং মুকুল থেকে ফলন ঝড়ে পরে না। এই সকল বাগানগুলিতে,বাগান মালিকরা বানিজ্যিক চাহিদা পূরনের জন্য আম্ররূপলি, রুপালি, সোঁনালী, চোষা,সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলন শীল  আমের চাষ করেণ।

ঝালকাঠি জেলায় এই ধরণের বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের পরিমান প্রতিবছরই বাড়ছে এবং কৃষি বিভাগের হিসাবমতে প্রায় ৫০০ হেক্টরে বর্তমানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে আমের বাগান গড়ে উঠেছে। স্থানীয়ভাবে চাষ করা আম ফরমালিনমুক্ত হওয়ার কারণে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে।

বিগত বছরের বে-সরকারি পরিসংখ্যান  অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে ও বানিজ্যিক ভাবে চাষকরা আম থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা কেনা বেচা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক ভাবে আমের বাগান নলছিটি উপজেলার পাওতা গ্রামে রয়েছে। এছাড়াও সদর উপজেলার বেতরা, কাপুরকাঠি, শতদশকাঠি, ভীমরুলি ও কৃত্তিপাশা এলাকায় বানিজ্যিক আমের বাগান রয়েছে। এছাড়াও জেলার রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় ছোট ছোট আকারে আমের বাগান গড়ে উঠেছে।

বাধন রায়/ ইবি টাইমস