ভিয়েনা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়ন বিস্ময়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
  • ৫ সময় দেখুন

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ছয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বুধবার (০৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব পালনের যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনাকে জনগণ ভোট দিয়ে একটানা ১২ বছর সরকার পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী। বৈরন,  তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসলে বাংলাদেশে হয়তো তলাবিহীন ঝুড়ি অথবা দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হতো। বিশ্বের কাছে কোনো মর্যাদা থাকতো না। আজ কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নততর অবস্থায় পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এসময় গত ১২ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি মন্ত্রী বলেন, দুধের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২.২৯ মিলিয়ন মে. টন, সেটা ২০১৯-২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ মিলিয়ন মে.টন। ১২ বছর পূর্বে মাংসের উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মে.টন, ২০১৯-২০ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ মে.টন, ডিমের উৎপাদন ছিল ৪.৭ বিলিয়ন বর্তমানে সেটা ১৭.৩৬ বিলিয়ন। মৎস্য উৎপাদন ২০১০ সালে ছিল ৩০.৬২ লক্ষ মে.টন বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লক্ষ মে.টন। ২০১০ এ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লক্ষ মেট্রিক টন এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম স্থানে আছি। দেশীয় ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪টি প্রজাতির মাছ বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য আমরা জিন ব্যাংক করেছি। এটি অভাবনীয় সাফল্য।

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে একুশে পদক অর্জন করেছে।” শেখ হাসিনার আমলের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাথাপিছু গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আশা করি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একুশতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে একটি নেতৃত্বের কারণে। শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশে কোথায় পৌঁছে যেতে পারে, তা আজ প্রমাণিত। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ। তিনি এসময় আরো বলেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চায়, আবার জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দিতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে।

ঢা. প্র/ইউবি টাইমস/০৬.০১.২১

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়ন বিস্ময়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আপডেটের সময় ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ছয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বুধবার (০৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব পালনের যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনাকে জনগণ ভোট দিয়ে একটানা ১২ বছর সরকার পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী। বৈরন,  তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসলে বাংলাদেশে হয়তো তলাবিহীন ঝুড়ি অথবা দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হতো। বিশ্বের কাছে কোনো মর্যাদা থাকতো না। আজ কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নততর অবস্থায় পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এসময় গত ১২ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি মন্ত্রী বলেন, দুধের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২.২৯ মিলিয়ন মে. টন, সেটা ২০১৯-২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ মিলিয়ন মে.টন। ১২ বছর পূর্বে মাংসের উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মে.টন, ২০১৯-২০ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ মে.টন, ডিমের উৎপাদন ছিল ৪.৭ বিলিয়ন বর্তমানে সেটা ১৭.৩৬ বিলিয়ন। মৎস্য উৎপাদন ২০১০ সালে ছিল ৩০.৬২ লক্ষ মে.টন বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লক্ষ মে.টন। ২০১০ এ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লক্ষ মেট্রিক টন এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম স্থানে আছি। দেশীয় ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪টি প্রজাতির মাছ বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য আমরা জিন ব্যাংক করেছি। এটি অভাবনীয় সাফল্য।

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে একুশে পদক অর্জন করেছে।” শেখ হাসিনার আমলের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাথাপিছু গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আশা করি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একুশতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে একটি নেতৃত্বের কারণে। শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশে কোথায় পৌঁছে যেতে পারে, তা আজ প্রমাণিত। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ। তিনি এসময় আরো বলেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চায়, আবার জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দিতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে।

ঢা. প্র/ইউবি টাইমস/০৬.০১.২১